নিউজ ডেস্ক::
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গাসহ কক্সবাজারের সংশ্লিষ্ট এলাকায় কলেরার ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষের জন্য নয় লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে স্বাস্থ্য বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর একটি জোট।
বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে বুধবার অনুরোধ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই জোটের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে।
ডব্লিউএইচওর সঙ্গে ইউনিসেফ, মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রঁতিয়েসে (এমএসএফ) ও ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য রেড ক্রস (আইএফআরসি) মিলে ইন্টারন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটিং গ্রুপ ((আইজিসি) অন ভ্যাকসিন প্রভিশন নামের এই জোটের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
ডব্লিউএইচওর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অক্টোবর থেকে শুরু করে দুই বিশেষ অভিযান চালিয়ে খাওয়ার উপযোগী এসব কলেরা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।এই অভিযানে ভ্যাকসিন বিষয়ক জোট গ্যাভি সহায়তা করবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ বলেন, “প্রতিরোধযোগ্য কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতেই সতর্কতামূলক এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
“জরুরি অনুরোধের পর আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা ও উদ্যোগের এই দ্রুততাকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় আছি।”
গত ২৫ অগাস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন-নিপীড়নের মুখে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
তাদের অনেকেই প্রবল বর্ষণের মধ্যে শরণার্থী শিবির বা অস্থায়ী বসতিতে রয়েছেন, যেখানে জীবানুমুক্ত পানি ও স্যানিটেশনের সংকট তৈরি হয়েছে। এর ফলে কলেরার মতো পানিবাহিত রোগ ছড়ানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশে ডব্লিউএইচওর প্রতিনিধি ড. নবরত্নস্বামী প্রনিথেরান বলেন, “রোগ ও পানির গুণমানের উপর নজরদারিসহ প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সম্ভাব্য সবকিছু করছি।
“ভ্যাকসিন অভিযান ঝুঁকিপূর্ণ এসব মানুষকে কলেরা থেকে রক্ষায় সহায়তা করবে।”
পাঠকের মতামত